মাইগ্রেইন কী-মাইগ্রেইন এর লক্ষণ ও এর থেকে মুক্তির উপায়

বর্তমান বিশ্বে মাইগ্রেন একটি বহুল পরিচিত রোগ। তবে অনেকেই জানেন না মাইগ্রেন কি এবং মাইগ্রেনের লক্ষণ সমূহ। সাধারণত গ্রিক শব্দ এমএ ক্রিমিয়া থেকে মাইগ্রেন শব্দটির উৎপত্তি। যার অর্থ মাথার একপাশে ব্যথা। চিকিৎসকদের মতে এটি একটি নিউরো ভাসকুলার ডিজ অর্ডার। সাধারণত পুরুষের চেয়ে নারীরা এ রোগে বেশি ভোগেন। আজ আমরা আলোচনা করতে চলেছি মাইগ্রেন কি মাইগ্রেনের লক্ষণ ও এর থেকে মুক্তির উপায়।

মাইগ্রেন কি মাইগ্রেন এর লক্ষণ ও মুক্তির উপায়


অনেকের ধারণা মাইগ্রেন শুধুমাত্র মাথার একপাশে হয়ে থাকে তবে এ ধারণা পুরোপুরি ঠিক নয় মাইগ্রেনের ব্যথা পুরো মাথা জুড়ে হতে পারে। তাছাড়া মাইগ্রেনের মাথাব্যথায় শুধু থাকে না সেই সাথেশব্দ ও আলোর সংবেদনশীলতা সহআরো বেশ কিছুসমস্যা দেখা যায়।

চলুন তবে জেনে নেওয়া যাক মাইগ্রেন কি মাইগ্রেনের লক্ষণওএর থেকে মুক্তির উপায় সমূহ।  

 পোস্ট সূচীপত্র মাইগ্রেইন কী-মাইগ্রেইন এর লক্ষণ ও এর থেকে মুক্তির উপায়

  • ভূমিকা
  • মাইগ্রেন কী
  • মাইগ্রেনের কারণ
  • মাইগ্রেনের লক্ষণ
  • মাইগ্রেনে করনীয়
  • মাইগ্রেন থেকে মুক্তির উপায়
  • উপসংহার

ভূমিকা 

 সমস্যাটি একটি বহু পুরনো এবং প্রচন্ড যন্ত্রণাদায়ক সমস্যা। যাতে সারা বিশ্বের প্রায় কোটি কোটি মানুষ এখন আক্রান্ত। মাইগ্রেন সমস্যার কোন নির্দিষ্ট কারণ এখনো পর্যন্ত জানা যায়নি। যদিও জেনেটিকসহ পারিপার্শ্বে আরো নানা কারণ এর সাথে সম্পৃক্ত বলে ধরে নেওয়া হয়।

মাইগ্রেটের ফলে দৈনন্দিন রোড কাজ করবে তারা সমস্যার মুখোমুখি হতে হয়। কেননা একটি তীব্র যন্ত্রণা স্বাভাবিক কাজকর্মে ব্যাঘাত সৃষ্টি করে। অনেকের ধারণা মাইগ্রেন শুধু মাথাব্যথার একটি রূপ। যদিও মাইগ্রেনের সাথে সম্পৃক্ত রয়েছে আরও নানা ধরনের শারীরিক সমস্যা।

মাইগ্রেন কী
মাই গ্রেন বা অতি সংবেদনশীল হিসেবে মাথা ব্যথা খুবই যন্ত্রণাদায়ক একটি সমস্যা। চিকিৎসকদের মত অনুযায়ী নিউরোপাসকুলার ডিসঅর্ডারের অন্তর্ভুক্ত। গবেষণাতে প্রতি পাঁচজনে একজন নারী এবং প্রতি ১৫ জন একজন পুরুষ এরকম আক্রান্ত হয়।
তবে মাইগ্রেন শুধু মাথাব্যথা নয় বরং এর ফলে দেখা যায় আলো এবং সংবেদনশীলতা তীব্র বমি ভাব চোখে ঝাপসা দেখা ইত্যাদিও এর সাথে সম্পৃক্ত। মাইগ্রেন সমস্যা বহু পুরনো এবং এর যথাযথ কারণ এখনো পর্যন্ত অজানাই রয়ে গেছে।মাইগ্রেন নানা কারণে হতে পারে। যেমন হরমোনাল পরিবর্তন, বয়সন্ধিকাল পারিপার্শ্বিক ইত্যাদি বিষয় মাইগ্রেন কে প্রভাবিত করে।
মাইগ্রেনের কারণ
 মাইগ্রেনএর সঠিক কারণ এখনো পর্যন্ত অজানা। তবে কিছু কিছু বিষয় আছে যেগুলো মাইগ্রেনের জন্য দায়ী বলে ধরা হয়। যেমনঃ

  •  বয়সন্ধিকালীন সময়ে
  •  হরমোনের পরিবর্তন
  •  জন্মনিয়ন্ত্রণ ঔষধ
  •  পারিপার্শ্বিক পরিবেশ
  •  বংশানুক্রম ইত্যাদি।

মাইগ্রেনের লক্ষণ 
অসহ্যকার একটু মাথা যন্ত্রণার নাম মাইগ্রেন। যার কিছু কিছু বিষয় রয়েছে যেগুলো দেখে মোটামুটি ধারণা করা যায় যে একটি মাইগ্রেন কিনা। যেমনঃ

  • মাথার একপাশে বা উভয়পাশে তীব্র মাথাব্যথা
  • বমি বমি ভাব 
  • ঘুমের ব্যাঘাত
  •  শব্দে অস্বস্তি
  • মাথা ঘুরার সমস্যা
  • অতিরিক্ত আলোয় সমস্যা হওয়া
  • দুর্বলতা বোধ হওয়া
  • উপসংহার

মাইগ্রেনে করনীয় 
যদিও মাইগ্রেন পুরোপুরি ভালো হয় না। তবে কিছু কিছু নিয়ম অনুসরণ করলে মাইগ্রেন থেকে অনেকটা মুক্তি মিলে। বাজারে নানা ধরনের ওষুধ পাওয়া যায় যা মাইগ্রেন থেকে দ্রুতই মুক্তি দেয়। তবে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী মাইগ্রেনের ওষুধ সেবন করলে এর থেকে অনেকটাই বেঁচে থাকা যায়। 

তাছাড়া দৈনন্দিন জীবনে স্বাস্থ্যকর নিয়ম কানুন মেনে চললে মাইগ্রেন থেকে বেঁচে থাকা সম্ভব। এছাড়া ব্যক্তি অনুযায়ী মাইগ্রেন সমস্যার কারণ ভিন্ন হওয়ায় সেই কারণে অনুসন্ধান করে তা থেকে এড়িয়ে চললে মা বোন সমস্যা কমানো যায়।

মাইগ্রেন থেকে মুক্তির উপায় 
মাইগ্রেন থেকে মুক্তি পেতে চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়াও প্রতিদিনের রুটিনে এবং অভ্যাসে কিছু পরিবর্তন থেকে মুক্তির উপায় হিসেবে চিহ্নিত করে। যেমনঃ

  • রাত না জাগা
  • পর্যাপ্ত পরিমাণ ঘুমানো
  • পুষ্টিগুণ সম্পন্ন খাদ্য গ্রহণ
  • খালি পেটে না থাকা
  • অতিরিক্ত রোধ বা গরম এড়িয়ে চলা
  • অতিরিক্ত ঠান্ডা এড়িয়ে চলা
  • দুশ্চিন্তা কম করা
  • সাথে সাথে বাসস্থান পরিহার করা
  • পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন থাকা
  • নিয়মিত গোসল করা
  • তেল চর্বি জাতীয় খাদ্য পরিহার করা ইত্যাদি
  • অতিরিক্ত ডিভাইস আসক্তি পরিহার করা

উপসংহার
 পরিশেষে বলা যায় মনের মত অতি যন্ত্রণাদায়ক সমস্যা থেকে বাঁচতে অবশ্যই স্বাস্থ্যকর জীবনে চরণ মেনে চলতে হবে। যে সকল বিষয় মাইগ্রেন সমস্যা বাড়িয়ে তুলে তা থেকে বিরত থাকতে হবে। তাছাড়া মাইগ্রেনের ওষুধ সেবনের ক্ষেত্রে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ মেনে চলতে হবে। লেখক এর কথাঃ সব সময় মনে রাখতে হবে চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া যেকোনো ধরনের ওষুধ সেবন শরীরের জন্য মারাত্মক ক্ষতির কারণ হতে পারে। আর তাই যেকোনো অসুস্থতায় চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ওষুধ সেবন করা উত্তম।

আশা করি আর্টিকেলটি পড়ে আপনি উপকৃত হবেন। আপনার সুস্থতা কামনা করে আজ এ পর্যন্তই ধন্যবাদ।


এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ১

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ২

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ৩

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ৪